শিক্ষা ব্যবস্থা কোন তলানিতে পৌঁছেছে, ছাত্রছাত্রীদের গ্রাফ পেপার না দেওয়াটা তার প্রমান, ভবিষ্যত প্রজন্মকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে মমতা সরকার

শিক্ষাকে নিয়ে মমতা সরকারের যে, অবহেলা, কালকে ছাত্রছাত্রীদের গ্রাফ পেপার না দিয়ে আরেকবার প্রমাণ হলো।
শিক্ষা সম্পর্কে বিন্দুমাত্র আগ্রহ থাকলে এটা হতে দিতো না। শিক্ষা ব্যবস্থায় চরম অবস্থা চলছে।

বৃহস্পতিবার ছিল মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষা। এদিন কোনো গ্রাফ পেপারই পৌঁছয়নি পরীক্ষাকেন্দ্রে। এদিকে প্রশ্নপত্রে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, গ্রাফ পেপার দেওয়া হবে। কি করুন অবস্থা পরীক্ষার্থীদের। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় এমন পরিস্থিতি হবে ভাবতেই পারছেন না পরীক্ষার্থীরা। যদিও এর দায় নিতে নারাজ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

মাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেনি কোনোদিন। প্রত্যেকবার মাধ্যমিকের অংক পরীক্ষায় গ্রাফ পেপার পরীক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হয়। কিন্তু ২০২৩ সালে একেবারেই অন্যরকম ঘটনা ঘটল। পরীক্ষা চলাকালীনই হঠাত একটি নোটিশ জারি করে পর্ষদ। সেখানে বলা হয়েছে, সাদা কাগজেই পরীক্ষার্থীরা গ্রাফ করতে হবে। যদি গ্রাফ পেপার সরবরাহ না-ই করা হবে, তাহলে প্রশ্নপত্রে কেন গ্রাফ পেপার দেওয়ার কথা লেখা ছিল? অন্যদিকে প্রশ্নকর্তা তো পর্ষদের বাইরের লোক নন।

শিক্ষাবিদদের একাংশ বলছেন, এভাবে প্রশ্নকর্তা বা ভেন্যু ইনচার্জের উপর দায় ঠেলে পর্ষদ কখনওই দায়িত্ব এড়াতে পারে না। ৪ নম্বরের প্রশ্ন নিয়ে কেন এতটা হেলাফেলা, উঠছে সে প্রশ্নও।

অঙ্ক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে গ্রাফ পেপার দেওয়াটাই নিয়ম এবং দায়িত্ব। কিন্তু সামান্য একটা ইমেল করে মমতা সরকার দায় ঝেড়ে ফেললেন।

এবার প্রশ্ন হল গ্রাফ করার একটি বিশেষ পদ্ধতি রয়েছে। পরীক্ষার্থীরা কখনও সাদা কাগজে গ্রাফ করেছে এরকম ঘটনা ঘটেনি। মাধ্যমিকের মতো বড় পরীক্ষায় তাদেরকে পর্ষদের তরফে সাদা কাগজে গ্রাফ করতে বলা হচ্ছে।

গ্রাফ কখনোই সাদা কাগজে করা যায় না। গ্রাফ করার জন্য গ্রাফ পেপার তা এর জন্যই দেওয়া হয়। পরীক্ষার্থীরা যদি খাতায় স্কেল দিয়ে দাগ টেনে এটা করতে যায়, তাহলে তাতে ‘পারফেকশন’ কখনোই আসবে না। তার মধ্যে পরীক্ষার হলে তারা অঙ্ক শেষ করা নয় একটা টেনশন এর মধ্যে থাকে। সেখানে কিভাবে সম্ভব সাদা কাগজে দাগ টেনে গ্রাফ করা ? যেটা ছাত্রছাত্রীরা কখনো প্র্যাক্টিসই করেনি ।

শিক্ষা প্রশাসন কোন তলানিতে পৌঁছেছে, এটা তারই প্রমাণ।