মমতার সরকারের দেওয়া শিশু মৃত্যুর পরিসংখ্যান কার্যত উড়িয়ে দিয়ে চিকিৎসকদেরই একাংশ বলছেন আইএএনএস-এর রিপোর্ট অনুসারে, মাত্র ১১ দিনে ৪৮টি শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে

প্রতিদিনই সামনে আসছে শিশু মৃত্যুর খবর। অ্যাডিনোতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে দুধের শিশুরা। এখন প্রশ্ন কত মায়ের কোল খালি হলে সরকারের টনক নড়বে ?

অ্যাডিনো ভাইরাস-এই নামটা এখন গোটা বাংলার অভিভাবকদের কাছে শঙ্কার কারণ।

কয়েকদিন আগে আইসিএমআর নাইসেডের সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়। সেই সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে , অ্যাডিনোর প্রকোপের শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। পরিসংখ্যান বলছে, অ্যাডিনোর কবলে প্রথম পাঁচ রাজ্যের মধ্যে প্রথমেই বাংলা। অ্যাডিনো আক্রান্ত ৩৮ শতাংশ। তামিলনাড়ু ১৯ শতাংশ। কেরল ১৩ শতাংশ। দিল্লি ১১ শতাংশ। মহারাষ্ট্র ৫ শতাংশ। কেন্দ্রের সমীক্ষার জেরেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে স্বাস্থ্য ভবন।

মমতা সরকারের দেওয়া জানুয়ারি মাস থেকে আজ পর্যন্ত (১৩ মার্চ ২০২৩) রাজ্যে শ্বাসকষ্টে মোট মৃত শিশুর সংখ্যা ১৪৭। তবে, সরকারি শিশু মৃত্যুর যে পরিসংখ্যান সরকারের তরফে সামনে আনা হয়েছে তা কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকদেরই একাংশ। আইএএনএস-এর রিপোর্ট অনুসারে, মাত্র ১১ দিনে ৪৮টি শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টর্সের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মানস গুমটা মানস অভিযোগ করেছেন সরকার ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা “আন্ডার রিপোর্ট” করেছে। তিনি বলেন, “সব শিশুই হাসপাতালে শয্যা পাচ্ছে না। তাদের জন্য সিসিইউ পাওয়া যাচ্ছে না, সামগ্রিক পরিস্থিতি এখন গুরুতর হয়ে উঠেছে।” পরিস্থিতি রীতিমত চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে” ।

অ্যাডিনো সংক্রমণের ক্ষেত্রে কোথাও সনাক্তকরণের ক্ষেত্রে দেরি হয়ে যাচ্ছে না? সেই প্রশ্নের উত্তরে চিকিৎসক সৌম্যজিত গুহ বলেন, বেসরকারি ক্ষেত্রে অ্যাডিনো ভাইরাস টেস্টিংয়ের খরচ অনেকটাই বেশি। “বর্তমানে, এই পরীক্ষার খরচ ৫ থেকে থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে। অ্যাডেনোভাইরাসের জন্য কোনও দ্রুত অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ব্যবস্থাও নেই। যেহেতু দ্রুত পরীক্ষা করটা অনেক সময় সম্ভব হয়ে উঠছে না , সেক্ষেত্রে আইসোলেশনের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে, অনেক শিশু হাসপাতালে নিজেই সংক্রামিত হচ্ছে।