সাম্প্রদায়িক হিংসায় তপ্ত মোমিনপুর -একবালপুর! লক্ষ্মী পূজোর রাতে বাড়ি বাড়ি হামলা, বাইক ভাঙচুর, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি শুভেন্দু অধিকারীর

Tension erupted in West Bengal's Mominpur area

রবিবার কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে কলকাতার খিদিরপুর মোমিনপুরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে । সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে এক বিশেষ সমপ্রদায়ের মানু্ষ পাথরবাজি করছে । প্রাণ ভয়ে পালিয়ে মানুষ । এমনকি ঘটনাস্থলে কলকাতা পুলিশবাহিনী মজুত থাকলেও পুলিশকে পিছু হঠতে দেখা যায় । অন্য কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে কিছু বাড়িঘর লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি ইঁটপাটকেল ছোড়া হচ্ছে।

রাতে এই নিয়ে টুইট করে প্রতিবাদ জানান একাধিক বিজেপি নেতারা। সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, টুইট করেন। এই পরিস্থিতিতে এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লেখেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যত শীঘ্র সম্ভব কলকাতার মোমিনপুর, ইকবালবুরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবি তুললেন তিনি।

তিনি বলেন, “আমি অনুরোধ জানিয়েছি যে এই মূহুর্তেই যেন এই হিংসা হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগে পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা হয়”।

সুকান্ত মজুমদার গতকাল টুইট করে লেখেন, ‘মোমিনপুর-খিদিরপুরের পরিস্থিতি জানতে পেরে খুবই চিন্তিত। সেখানকার পরিবারদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমি আবেদন জানাচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের ডিজি এবং কলকাতা পুলিসের কমিশনার কখন পদক্ষেপ করবেন এই নিয়ে?’

মোমিনপুরে হিংসার ঘটনায় বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া প্রধান অমিত মালব্য তীব্র ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সমালোচনা করেন। ১৯৪৬ সালের নোয়াখালি হিংসার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মমতার শাসনে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা খুবই সাধারণ হয়ে উঠছে। যারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না তারা এর পুনরাবৃত্তি করতে পারে”।