“চারটে বোমা মেরে শুভেন্দুকে একাই শায়েস্তা করার ক্ষমতা রাখি”; সমাজবিরোধীদের মতন কথা মদন মিত্রর মুখে

শুভেন্দুকে একাই শায়েস্তা করার ক্ষমতা রাখি

এবার শুভেন্দু অধিকারীকে টার্গেট করলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। বললেন,‘‌ যদি দলের নির্দেশ আসে তাহলে ঘটি-বাটি মুড়িয়ে ১০ মিনিট লাগবে অন্য জায়গায় ফেরত পাঠিয়ে দেব।’‌ শুধু তাই নয়, কিছু ছেলে নিয়ে চারটে বোমা মেরে সব ফাঁকা করে দেওয়ারও হুমকি দিলেন তিনি। 

গত ১৩ সেপ্টেম্বর, পিটিএস থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু হয়ে নবান্ন অভিমুখে রওনা দিয়েছিলেন শুভেন্দু, লকেট, রাহুল সিনহারা। কিন্ত শুরুতেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। আটকে দেওয়া হয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। তাতে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। সেই সময় এক মহিলা পুলিশ কর্মী শুভেন্দুকে (Shuvendu Adhikari) গাড়িতে উঠতে বলেন। তাঁর গায়ে হাত দেন ওই মহিলা পুলিশকর্মী। মহিলা পুলিশ কেন তাঁর গায়ে হাত দিচ্ছেন, সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন তোলেন।
ওই ঘটনা নিয়ে ব্যাক্তিগত আক্রমণ শুরু হয় শাসকদল শিবিরের তরফে। প্রকারান্তরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে সমকামী বলে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করে।

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘দেখলাম লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাহুল সিনহার বসে আছেন। আর উনি রাহুল সিনহার হাতে হাত দিয়ে বসে আছেন। জানি না সেটা কী।’‌

এই ইস্যুতেই শুভেন্দুকে এবার সমাজবিরোধীদের ভাষায় আক্রমণ করলো মদন। মদন বলে যে, এখনই একটা ছেলেকে দিয়ে চারটে বোমা মারলে সব ফাঁকা হয়ে যাবে। কিন্তু তাতে কৃতিত্ব কিছু নেই।” তিনি একাই শুভেন্দুকে শায়েস্তা করে দেবেন। এবং সেটা ১০ মিনিটের মধ্যেই। দুটো বাইক নিয়ে চারটে বোমা মারলে সব ফাঁকা হয়ে যাবে।’‌

মদন মিত্রের এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বিজেপি নেতা রাহুন সিনহা (Rahul Sinha) সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমরা বারবার বলে এসেছি এটা উগ্রপন্থী ও সন্ত্রাসবাদীদের পার্টি। তার আবার প্রমাণ পাওয়া গেল। অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় ক’দিন আগে মাথায় গুলি করার কথা বলছেন, উনি ১০ মিনিটে খালি করা, বোম মারার কথা বলছেন।তার মানে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে পশ্চিম বাংলায় হিংসা, পশ্চিম বাংলায় রাহাজানি, পশ্চিম বাংলায় সন্ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করে এরা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।