“তুই- তোকারি” থেকে মোদীর প্রতি মমতার সৌজন্য দেখে অবাক বঙ্গবাসী

“তুই টাকা দিয়েছিস যে হিসেব চাইবি, তুই টাকা দিয়েছিস হিসেব নিবি, তুই টাকা দিয়েছিস যে তোকে হিসেব দেব”; মমতার প্রধান মন্ত্রী মোদীর প্রতি এই ঘরানার কথা শুনতেই অভস্ত্য বঙ্গবাসী।

কিছুদিন আগেও মোদীজিকে কিম্ভূতমার্কা এবং অমিতজীকে হোঁদলকুতকুত বলে মমতা সম্বোধন করে ছিল মমতা , সেখানে শিষ্টাচার বোধ ছিল কি? আজ কেন তবে হঠাৎ রাজনৈতিক শিষ্টাচারের কথা মনে পড়লো।

এর কারণ অনুসন্ধান করা যাক:

দীপক ঘোষ একজন ভালো মানুষ,বড় আমলা, অত্যন্ত সৎ, সাহসী মানুষ। উনি সত্য বলতে কখনও ভয় পায় না। তিনি মমতা সম্পর্কে যে বইটি লিখেছিলেন সেটা শুভেন্দু অদিকারীর সৌজন্যেই আজ বাঙালির ঘরে চর্চিত। কি আছে তাতে ? মিথ্যে কথায় টইটুম্বুর একটি দলের নেত্রীর অচেনা, অজানা এবং সর্বোপরি ভয়ঙ্কর কথা লেখা রয়েছে যা আজ বাঙালি পরে শিউরে উঠছে। সাদা সারিতে কত কালির দাগ বাঙালি দেখতে পায়নি, বাঙালির ৫০০ টাকার ভিক্ষাবৃত্তির ঠুলি পরিয়ে নিজের মিথ্যা জীবন কাহিনী বার বার উদযাপন করছিলেন।

হয়তো কুনাল ঘোষ প্রতিশোধ নিলেন মমতার ওপর। উনি হয়তো জানতেন যে কতটা কুরুচিকর কথা শুভেন্দুকে বললে পরে তার পাটকেল তা মমতার ওপর কতটা জোরদার পড়বে। এবং কুনালের ছক অনুযায়ী তা পড়েছে।

আজ যে শিষ্টাচারের কথা মমতা বলছেন সেদিন কোথায় ছিল যেদিন শুভেন্দুকে কুরুচিকর ভাষাতে আক্রমন করা হয়েছিল ?

২ কোটি জনতা দীপক ঘোষের বইটা পড়ার পরে এখন শিষ্টাচারের কথা মমতাকে বলতে হচ্ছে। ৩৪ বছর সিপিম এর অত্যাচার সহ্য করে মমতা ব্যানার্জিকে মানুষ এনেছিলে এই বাংলাতে শুধুমাত্র বাংলাতে উন্নতির আশাতে, কিন্তু সেদিন থেকে বাঙালির ডিঙি পুরো ডুবে গেলো। ডুবন্ত নৌকার সাথে বাঙালিও অতল জালে তলিয়ে গেলো। এবং এই দুর্বৃত্যপরায়ণ কাজটি করলো মমতা এবং তার দল।

আজ যখন একটি শক্তিশালী বিরোধীদল তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে তখন কুরুচিকর ভাষাতে আক্রমণ করছে মমতা। কিন্তু উনি ভুলে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতার নাম শুভেন্দু অধিকারী। যিনি প্রতিগ্ঞা করেছে বাংলাকে এই দুর্বৃত্বদের হাত থেকে বাঁচাবেন। সুতরাং সহজে ছেড়ে দেবেন না উনি। টেনে নামাবেন সৈরাচারীনিকে মুখ্যমন্ত্রীর গদি থেকে । যত কুকথা ববেন তত আপনার কদর্য্যতা সামনে আসবে। যেটা এসেছে সেটা কিছুই নয়, যেটা আস্তে চলেছে সেটা ভয়ঙ্কর।

এবার দেখাযাক কেন দীপক ঘোষের বই মমতা নিষিদ্ধ করলেন না। দীপক ঘোষের কথাতে ইনি নিজে এতো মিথ্যে কথা বলেছেন যে উনি ফেঁসে যেতেন এবং বেশি বাড়াবাড়ি করলে সেই সময় মানুষ তাকে ছুড়ে ফেলেদিত। উনি হলেন একজন ক্ষমতালোভী মহিলা। সুতরাং উনি করলেন না। দীপক ঘোষের নাম একটি কেস করা হয়েছিল, আজ সেই কেস ওঠেন নি , দীপক বাবু নিজে কোর্টকে চিঠি দেন কেসেটাকে তোলার জন্য, কিন্তু তৃণমূলের আইনজীবীরা তা তুলতে দেন নি ১২ বছর ধরে।

শেষের দিন যত ঘনিয়ে আসছে তত শিষ্টাচার শেখাচ্ছেন বাংলার মানুকে। তবে বাংলার মানুষ কতটা শিষ্টাচার দেখাবেন শিষ্টাচারহীন দলকে এবং তার নেত্রীকে সেটা ভবিষ্যৎ বলবে ।