সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে অনুব্রত জেলে থাকা কালিন কীভাবে রাজ্য পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করল? আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে গিয়ে পুলিশ যে গ্রেফতার করল, সেই অনুমতি কোথা থেকে এল?

অনুব্রত মণ্ডলকে তদন্তের জন্য দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেয়েও ধাক্কা খেল ইডি (ED)। আপাতত তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। পুরনো এক মামলায় তাঁকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল দুবরাজপুর আদালত। আইন অনুযায়ী, তাঁকে দুবরাজ থানায়, সিসিটিভির আওতায় পুলিশের হেফাজতেই থাকতে হবে। আগামী ২৭ তারিখ ফের অনুব্রতকে আদালতে পেশ করা হবে। এদিন অনুব্রতর জামিনের আবেদন জানাননি কেউ। আর মঙ্গলবার অনুব্রতর মামলা যেভাবে আইনি বাঁক নিল, তাতে অন্তত ৭ দিনের জন্য তাঁর দিল্লি যাত্রা অর্থাৎ ইডি হেফাজতে যেতে হচ্ছে না।

দুবরাজপুরের মেজে গ্রামের বাসিন্দা শিবঠাকুর মণ্ডল বালিজুড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান ছিলেন। তাঁর বক্তব্য, দল তাঁকে যথাযথ সম্মান দিচ্ছিল না। তাই গত বিধানসভা ভোটের সময় তিনি ভেবেছিলেন অন্য দলে যোগ দেবেন। শিবঠাকুর মণ্ডলের কথায়, “দুবরাজপুর পার্টি অফিসে আমাকে ডেকে পাঠিয়ে বলেন তুই অন্য দলে যাবি কেন? আমি বললাম, দাদা আমি এই দলে কোনও মানসম্মান পাই না। তখন আমাকে গলা টিপে ধরে এবং প্রাণে মারার চেষ্টা করে। আমি দাদার হাতে পায়ে ধরে রক্ষা পাই। তখন থেকেই এটা আমার মাথায় ছিল। আজ সুযোগ এসেছে। কেষ্টদা জেলে, তাই অভিযোগ করলাম। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।”

তবে এই গ্রেফতারি নিয়ে বিভিন্ন্য আইনজীবী মহলে প্রশ্ন উঠছে যে, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে অনুব্রত জেলে ছিলেন। সেখানে কীভাবে রাজ্য পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করল? আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে গিয়ে পুলিশ যে গ্রেফতার করল, সেই অনুমতি কোথা থেকে এল? এভাবে কি আদৌ গ্রেফতার করা যায়?

কেন জামিনের আবেদন করলেন না অনুব্রত? মলয় মুখোপাধ্যায়ের জবাব, “হঠাৎই ঘটনাটা ঘটেছে। তাই অনুব্রতর তরফে কোনও জামিনের আবেদন করা হয়নি।” বীরভূম জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, এই মামলার জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। তবে এর বেশি মলয় মুখোপাধ্যায় বলতে চাননি। জানিয়েছেন, ‘বিচারাধীন বিষয়। এত কিছু বলা যাবে না।’

বিরোধীদের অভিযোগ, অনুব্রতর দিল্লিযাত্রা বিলম্বিত করতে এমন কম গুরুত্বপূর্ণ মামলায় তাঁকে জড়িয়ে পুলিশ হেফাজতে রাখা হল। তবে বেশিদিন ধান্দাবাজি করে আটকানো যাবে না অনুব্রতক।