কোন তথ্য নষ্ট করার জন্য ভাঙড়ের আন্দুল গড়িয়াতে সরকারি নথি পোড়ানো হলো?

রাতের অন্ধকারে কারা সরকারি নথি পোড়ালো তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পাঁচিল ঘেরা এলাকার মধ্যে সরকারি নথি পোড়ানোর অভিযোগ। বিশাল এলাকা জুড়ে পুড়ছে নথি? কোন মারাত্মক ঘটনা বঙ্গবাসী দেখতে চলেছিল যার জন্য আগেভাগেই সরকারি নথি পুড়িয়ে তা শেষ করার চেষ্টা চললো ?
ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে সিবিআই ।

আচমকাই ভাঙড়ে বিপুল পরিমাণ সরকারি নথিতে আগুন। ভস্ম হয়ে যাওয়া কাগজ উদ্ধারের চেষ্টায় মরিয়া সিবিআই। সাতসকালে ভয়ঙ্করকাণ্ড ভাঙড়ের আন্দুলবেড়িয়ার বাগানবাড়ি সংলগ্ন এলাকায়। অভিযোগ, স্থানীয় কয়েক জন তৃণমূল নেতা সকালে লরি বোঝাই কাগজপত্র নিয়ে যান সেই মাঠে। সেখানে কাগজগুলি একসঙ্গে জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেন।

তৃণমূল নেতা গৌতম মণ্ডল ও রাকেশ রায় চৌধুরীর বাগানবাড়িতে নথি পোড়ানো কাজ চলছিল সকল থেকেই । সকাল থেকেই স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখে পড়েছে, লরি লরি কাগজ এনে জমা করা হয়েছে বাগানবাড়িতে।

গোটা বাগানবাড়ি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই নথিতেই হয়তো কোনও বড় ধারণে ঘোটালা ছিল। তাই প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চলছিল।

স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পায় সিবিআই। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। কাগজে সরকারি স্ট্যাম্প দেখে তদন্তকারীরা মনে করছেন সেগুলো নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও নথিই হতে পারে। কারণ যে তৃণমূল নেতারা লরিতে কাগজ এনেছিলেন, স্থানীয় এলাকায় তাঁরা আবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। কাগজগুলি অর্ধেকের বেশি পুড়ে গিয়েছে। আগুনে বালি ফেলে নিভিয়ে নথি উদ্ধারের চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। এই মুহূর্তে সেখানে রয়েছেন সাত থেকে আট জনের সিবিআই আধিকারিকের দল। ঝলসে যাওয়া কাগজের অবশিষ্টাংশ উদ্ধার করছেন আধিকারিকরা।