বয়স ভাঁড়িয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ, প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি দিয়ে CBI অনুসন্ধানের নির্দেশ বিচারপতি বসুর

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২১ জনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে মামলাকারীরা দাবি করেন, বয়স ভাঁড়িয়ে ২০১৩-র এসএনএসটি তে নিয়োগ রয়েছে। ২১ জনের নামের একটি তালিকাও হাইকোর্টে পেশ করা হয়। এরপরই বিচারপতি বসু সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অনেক যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন, নইলে পুরো প্যানেলই বাতিল করে দিতাম।

রাজ্যে প্রাইমারি থেকে SLST শিক্ষক নিয়োগে সাদা খাতা জমা দিয়ে অথবা অর্থ বিনিময়ে চাকরি পাওয়ার একাধিক অভিযোগ আগেও সামনে এসেছিল। তবে বয়স ভাঁড়িয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ এই প্রথম। মামলাকারীর দাবি, “চাকরি পাওয়ার সর্বোচ্চ বয়স ৪০ বছর। কিন্তু SSC প্রকাশিত তালিকার তথ্য থেকে প্রমাণিত বয়স অতিক্রম হয়ে যাওয়ার পরও অনেকেই চাকরি পেয়েছেন।” উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সেই বছর নভেম্বর মাসে পরীক্ষাও নেওয়া হয়েছিল। জানুয়ারি মাসে আবার এই মামলার শুনানি রয়েছে, আদালত তখন কোনও দৃষ্টান্তমূলক রায় দেয় কিনা, সেটাই এখন দেখার।

২০১৬ সালের SLST পরীক্ষা বয়স ভাঁড়িয়ে চাকরির পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বেশি নম্বর দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভময় ভুঁইঞা সহ ১৯৩ জন চাকরিপ্রার্থী। এই মামলার শুনানির CBI অনুসন্ধানের নির্দেশের পাশাপাশি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর গলায় এদিন ছিল হুঁশিয়ারির সুর। তিনি বলেন, “অনেক যোগ্য চাকরিপ্রার্থী রয়েছে বলে আমি প্যানেল বাতিল করছি না। নইলে পুরো প্যানেল বাতিলা করে দিতাম।” মামলাকারীদের তরফে আদালতের কাছে ২১ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।