“প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার” পরিবর্তে মমতা সরকার নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রকল্পের নতুন নামকরণ করেছে “আবাস প্লাস প্রকল্প”

গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারী সব গরীব ও প্রান্তিক মানুষের মাথার ওপর পাকা ছাদের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্প আনা হয়েছ। এটি একটি প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিজির স্বপ্নের প্রকল্প।

কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রকল্পের নাম বদলে “বাংলা আবাস যোজনা” করা হয়। তাই এখানে রাজ্য সরকারকে নতুন লক্ষ্যমাত্রা অনুমোদন করা হয়ন।

তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক আশ্বাস দিয়েছে যে ,কেন্দ্রীয় মন্ত্রালয়ের নির্দেশাবলী ও পরামর্শ অনুযায়ী রাজ্য জুড়ে প্রকল্পের সরকারি নাম তথা “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)” ও লোগো প্রদর্শিত হবে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক তাই পশ্চিমবঙ্গকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য ১১,৩৬,৪৮৮ টি বাড়ি নির্মাণ করার অনুমোদন প্রদান করেছেন ও এই জন্যে ৮২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন।

যে সব নিয়ম মেনে চলতে হবে রাজ্যকে তার একটা লিস্ট কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারকে পাঠিয়ে দিয়েছেন,

রাজ্য সরকার সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের যেন নির্দেশ জারি করেন, যে শুধুমাত্র সরকারি নিয়ম মেনে “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)” প্রকল্পের যথাযথ রূপায়ণ করতে হবে এবং পার্মানেন্ট ওয়েটিং লিস্ট এর মধ্যে থেকেই উপভোক্তাদের নাম নির্বাচন/চয়ন করতে হবে।

প্রকল্পের আসল নাম; “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)” ও লোগো, জনগণকে অবগত করানোর জন্য প্রকল্পের তথ্য সহ সাইনবোর্ডে প্রদর্শন করতে হবে। কেন্দ্রীয় গাইডলাইন অনুসারে এই প্রকল্পের মাধ্যমে নির্মিত প্রতিটি বাড়িতেই তা লাগাতে হবে। অন্য কোনো নাম, লোগো বা ব্রান্ডিং এই সকল বাড়িতে লাগানো যাবে না।

কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের গাইড লাইন অনুযায়ী Area Officers Mobile অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন আধিকারিকদের দিয়ে যথাযথ ভাবে পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করাতে হবে।

৬০% উপভক্তা যেন তপশীলি জাতি ও উপজাতি জনগোষ্ঠীর ব্যক্তিরা হন।

গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের ভবনগুলোতে পার্মানেন্ট ওয়েটিং লিস্টে থাকা উপভোক্তাদের নামের তালিকা টাঙানো থাকবে, কোনোরকম কোন বিচ্যুতি ঘটলে তা সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। শুধুমাত্র গরীব ও দুঃস্থদের জন্য এই প্রকল্প। চার চাকা গাড়ির মালিক অথবা বাড়িতে ‘এয়ার কন্ডিশনার’ মেশিন রয়েছে তাদের জন্য এই প্রকল্প নয়। অথবা আগে থেকেই পাকা বাড়ি রয়েছে কিন্তু বাড়তি জমি খালি পড়ে রয়েছে, তাই সখ করে বানিয়ে ফেলবো, তারাও যেনো এই প্রকল্পের উপভক্তাদের তালিকায় না আসে।

যেহেতু ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে, তাই ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের ২৫ তারিখের মধ্যে উপভোক্তাদের বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দিতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব প্রথম কিস্তির টাকা উপভোক্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করতে হবে।

যদি রাজ্য সরকার উপভোক্তাদের নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বাড়ির অনুমোদন দিতে এবং প্রথম কিস্তির টাকা ছাড়তে ব্যর্থ হয়, কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া বাড়ি নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা প্রত্যাহার করে নেবে।

“প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)” প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত “সিঙ্গেল নোডাল অ্যাকাউন্ট” এ কেন্দ্র ও রাজ্যের আনুপাতিক হারের অর্থ যথাযথ সময়মতো একসাথে ট্রেজারি থেকে জমা দিতে হবে।

প্রতিটি ব্লক/গ্রাম পঞ্চায়েতের উপভোক্তাদের, তাঁদের অধিকার সম্বন্ধে সচেতন করাতে “উপভোক্তা সচেতনতা শিবির” অনুষ্ঠিত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) -এর বাস্তবায়নের জন্য যে কাঠামো কেন্দ্রীয় সরকার তৈরি করেছেন তা রাজ্য সরকারকে বিচক্ষণতার সাথে মেনে চলতে হবে ও সঠিক সময়ে নির্মিত বাড়ি গুলির সামাজিক নিরীক্ষণ করতে হবে।

রাজ্যের সমস্ত জেলা, ব্লক ও গ্রাম পঞ্চয়েত গুলিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী জারি করতে হবে যাতে AwasSoft এর ব্যবহার বিধি অনুসারে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে যত জলদি সম্ভব এই বাড়ি গুলি অনুমোদন করতে হবে এবং সময়মত বাড়িগুলোর নির্মাণ কার্য শেষ করতে হবে অর্থাৎ ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে। ত্রৈমাসিক সময়কালীন লক্ষ্যমাত্রা স্থির করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কর্ম পরিকল্পনা বানিয়ে বাড়িগুলোর নির্মাণ কার্য শেষ করতে যাতে ১০০% লক্ষ্য পূরণ করা যায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে।

কিন্তু ইতিমধ্যেই একটি পোস্টারের দ্বারা শাসকদলের নিযুক্ত একটি কর্পোরেট সংস্থার মাধ্যমে বিতরণ ও প্রচার করানো হচ্ছে, যেখানে প্রকল্পের নতুন নামকরণ করা হয়েছে – “আবাস প্লাস প্রকল্প”। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি জ্বলজ্বল করছে। সেকানে “প্রধানমন্ত্রী” ও বাদ আর “বাংলা” ও বা।

এক্ষেত্রে মানুষকে সজাগ থেকে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিজির স্বপ্নের প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে হবে।

কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রকল্পের নাম বদলে “বাংলা আবাস যোজনা” করা হয়। তাই এখানে রাজ্য সরকারকে নতুন লক্ষ্যমাত্রা অনুমোদন করা হয়ন।

তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক আশ্বাস দিয়েছে যে ,কেন্দ্রীয় মন্ত্রালয়ের নির্দেশাবলী ও পরামর্শ অনুযায়ী রাজ্য জুড়ে প্রকল্পের সরকারি নাম তথা “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)” ও লোগো প্রদর্শিত হবে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক তাই পশ্চিমবঙ্গকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য ১১,৩৬,৪৮৮ টি বাড়ি নির্মাণ করার অনুমোদন প্রদান করেছেন ও এই জন্যে ৮২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন।

যে সব নিয়ম মেনে চলতে হবে রাজ্যকে তার একটা লিস্ট কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারকে পাঠিয়ে দিয়েছেন,

রাজ্য সরকার সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের যেন নির্দেশ জারি করেন, যে শুধুমাত্র সরকারি নিয়ম মেনে “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)” প্রকল্পের যথাযথ রূপায়ণ করতে হবে এবং পার্মানেন্ট ওয়েটিং লিস্ট এর মধ্যে থেকেই উপভোক্তাদের নাম নির্বাচন/চয়ন করতে হবে।

প্রকল্পের আসল নাম; “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)” ও লোগো, জনগণকে অবগত করানোর জন্য প্রকল্পের তথ্য সহ সাইনবোর্ডে প্রদর্শন করতে হবে। কেন্দ্রীয় গাইডলাইন অনুসারে এই প্রকল্পের মাধ্যমে নির্মিত প্রতিটি বাড়িতেই তা লাগাতে হবে। অন্য কোনো নাম, লোগো বা ব্রান্ডিং এই সকল বাড়িতে লাগানো যাবে না।

কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের গাইড লাইন অনুযায়ী Area Officers Mobile অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন আধিকারিকদের দিয়ে যথাযথ ভাবে পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করাতে হবে।

৬০% উপভক্তা যেন তপশীলি জাতি ও উপজাতি জনগোষ্ঠীর ব্যক্তিরা হন।

গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের ভবনগুলোতে পার্মানেন্ট ওয়েটিং লিস্টে থাকা উপভোক্তাদের নামের তালিকা টাঙানো থাকবে, কোনোরকম কোন বিচ্যুতি ঘটলে তা সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। শুধুমাত্র গরীব ও দুঃস্থদের জন্য এই প্রকল্প। চার চাকা গাড়ির মালিক অথবা বাড়িতে ‘এয়ার কন্ডিশনার’ মেশিন রয়েছে তাদের জন্য এই প্রকল্প নয়। অথবা আগে থেকেই পাকা বাড়ি রয়েছে কিন্তু বাড়তি জমি খালি পড়ে রয়েছে, তাই সখ করে বানিয়ে ফেলবো, তারাও যেনো এই প্রকল্পের উপভক্তাদের তালিকায় না আসে।

যেহেতু ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে, তাই ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের ২৫ তারিখের মধ্যে উপভোক্তাদের বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দিতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব প্রথম কিস্তির টাকা উপভোক্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করতে হবে।

যদি রাজ্য সরকার উপভোক্তাদের নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বাড়ির অনুমোদন দিতে এবং প্রথম কিস্তির টাকা ছাড়তে ব্যর্থ হয়, কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া বাড়ি নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা প্রত্যাহার করে নেবে।

“প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)” প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত “সিঙ্গেল নোডাল অ্যাকাউন্ট” এ কেন্দ্র ও রাজ্যের আনুপাতিক হারের অর্থ যথাযথ সময়মতো একসাথে ট্রেজারি থেকে জমা দিতে হবে।

প্রতিটি ব্লক/গ্রাম পঞ্চায়েতের উপভোক্তাদের, তাঁদের অধিকার সম্বন্ধে সচেতন করাতে “উপভোক্তা সচেতনতা শিবির” অনুষ্ঠিত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) -এর বাস্তবায়নের জন্য যে কাঠামো কেন্দ্রীয় সরকার তৈরি করেছেন তা রাজ্য সরকারকে বিচক্ষণতার সাথে মেনে চলতে হবে ও সঠিক সময়ে নির্মিত বাড়ি গুলির সামাজিক নিরীক্ষণ করতে হবে।

রাজ্যের সমস্ত জেলা, ব্লক ও গ্রাম পঞ্চয়েত গুলিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী জারি করতে হবে যাতে AwasSoft এর ব্যবহার বিধি অনুসারে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে যত জলদি সম্ভব এই বাড়ি গুলি অনুমোদন করতে হবে এবং সময়মত বাড়িগুলোর নির্মাণ কার্য শেষ করতে হবে অর্থাৎ ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে। ত্রৈমাসিক সময়কালীন লক্ষ্যমাত্রা স্থির করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কর্ম পরিকল্পনা বানিয়ে বাড়িগুলোর নির্মাণ কার্য শেষ করতে যাতে ১০০% লক্ষ্য পূরণ করা যায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে।

কিন্তু ইতিমধ্যেই একটি পোস্টারের দ্বারা শাসকদলের নিযুক্ত একটি কর্পোরেট সংস্থার মাধ্যমে বিতরণ ও প্রচার করানো হচ্ছে, যেখানে প্রকল্পের নতুন নামকরণ করা হয়েছে – “আবাস প্লাস প্রকল্প”। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি জ্বলজ্বল করছে। সেকানে “প্রধানমন্ত্রী” ও বাদ আর “বাংলা” ও বা।

এক্ষেত্রে মানুষকে সজাগ থেকে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিজির স্বপ্নের প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে হবে।