চপশিল্প গবেষণার মেন্টর তাপস পাল বধূ নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত, সাসপেন্ড করল বিশ্ববিদ্যালয়

চপ-শিল্প নিয়ে গবেষণাপত্রের মেন্টর অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড। ভূগোলের অধ্যাপক তাপস পালের বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশের উপরেই নিষেধাজ্ঞা জারি করল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় ( Raiganj University )।

চপ শিল্প নিয়ে গবেষণা তাঁরই মস্তিষ্ক প্রসূত। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর ছাত্রী কণা সরকারের চপ শিল্প নিয়ে গবেষণার কারণেই সংবাদের শিরোনামে এসেছিলেন। বধূ নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Raiganj University) সেই অধ্যাপক। অভিযুক্ত অধ্যাপকের নাম ডঃ তাপস পাল। রায়গঞ্জ (Raiganj) থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। শুক্রবার অভিযুক্ত শিক্ষককে বালুরঘাট জেলা আদালতে (Balurghat District Court) পেশ করা হয়। বিয়ের পর থেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করার কারণে অভিযুক্ত শিক্ষকের স্ত্রী ময়ূরাক্ষী রায় মামলা দায়ের করেন। আদালত অভিযুক্ত শিক্ষককে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুগোল বিভাগের অধ্যাপক তাপস পালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বধূ নির্যাতনের মামলায় বালুরঘাট থানার (Balurghat Police station) পুলিশ তাঁকে রায়গঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে।

সোমবার ধৃত তাপস পালকে অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের পড়ুয়ারা।

তাপস পালের স্ত্রী ময়ূরিকা রায়‌ও পেশায় একজন অধ্যাপক। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে‌ই গত ২৩ ডিসেম্বর বালুরঘাট থানার পুলিশ অধ্যাপক তাপস পালকে গ্রেফতার করে। এরপর সোমবার রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বৈঠকের শেষে তাঁকে সাসপেন্ড করার কথা জানান।

সোমবার রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার জানান, ‘‘পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্ট কালের জন্য তাপসকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রেও তাপসের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।’’ শুধু তাই নয়, এই ঘটনার তদন্ত করতে উপচার্যের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গঠন করা হবে বলেও জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার।