গোয়া তৃণমূলের সভাপতি নির্বাচনের আগেই লুইজিনহোর পদত্যাগ একটি ধাক্কা বিশাল ধাক্কা তৃণমূলে কাছে , কিন্তু কেন করলেন পদত্যাগ? দেখে নিন

রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের লুইজিনহো ফেলেইরো। মঙ্গলবারই তিনি পদত্যাগ করেছেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, বর্তমানে অন্য কোনও দলে যোগ দিচ্ছেন না। তবে গোয়ার স্বার্থে একজন পদাতিক সৈনিক হিসেবে তিনি কাজ করতে চান। আর সেই কারণেই তিনি তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্যপদ ছেড়ে দিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, ৭১ বছরের ফেলেইরো আরও বলেছেন তিনি খুব তাড়াতাড়ি তৃণমূল কংগ্রেসেরও সদস্যপদ ছেড়ে দেবেন।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর আগে তিনি দীর্ঘ দিন কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এদিন তিনি জানিয়েছেন বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে এই মুহূর্তে কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে তাঁর নেই। রাজ্যসভার সদস্যপদ ছাড়লেও তিনি এখনও তৃণমূলের সদস্য রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। এদিনই তিনি রাজ্য়সভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

তবে লুইজিনহো ফেলেইরোর পদত্যাগ ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে। এক তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, রাজ্যসভার নির্বাচন ঘোষণা করা হলে তৃণমূল ফেলেইরোর জায়গায় নতুন প্রার্থী দেবে। তৃণমূল সূত্রের খবর গোয়ার দলীয় বিষয় থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছিলেন ফেলেইরো। আর সেই কারণেই তাঁকে রাজ্যসভার সদস্য পদ ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় নেতৃত্ব। তৃণমূল সূত্রের খবর কয়েক মাস আগেই তাঁকে পজত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সময় চেয়েছিলেন।

গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফল ছিল রীতিমত হতাশাজনক। ৪০টি আসনের গোয়া বিধানসভায় একটিও আসন জিততে পারেনি তৃণমূল। তবে দুই পাতার পদত্যাগ পত্রে ফেলেইরো বলেছেন, ‘গোয়ানিজ সাংসদ হলেই তিনি গোয়ার সাংসদ নন- এই বিষয়টি আমাকে হতাশ করেছিল। আমি এমপি ল্যাড টাকা তহবিল সুরক্ষিত করার চেষ্টা করার সময় বুঝতে পেরেছিলেন আমি যে রাজ্য থেকে (পশ্চিমবঙ্গ ) নির্বাচিত হয়েছিল তার বাইরে আমার বরাদ্দকৃত তহবিলের মাত্র ২৫ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারি।’ কিন্তু এই টাকার পরিমাণ তিনি আরও বাড়াতে চেয়েছিলেন গোয়ার জন্য। তিনি বলেছেন, শুধুমাত্র গোয়ার স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রয়াত ফ্রান্সিসকো লুইয়ের স্মৃতিসৌধ নির্মাণই তাঁর কাছে যথেষ্ট নয়। তিনি গোয়ার জন্য আরও কাজ করতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, গোয়ার বিষয় বা সমস্যাগুলি রাজ্যসভায় তোলার জন্য তিনি দলের কাছ থেকেও কম সময় পেয়েছিলেব। যা তাঁর অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, রাজ্যসভার পদ বিশেষাধিকার ও সম্মানের। এটি দায়িত্বপূর্ণ একটি পদও । তিনি চিঠিতে বলেছেন, যে সমস্যাগুলির কথা তিনি উল্লেখ করেছেন সেগুলি সমাধান করার সামর্থ তার নেই। তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করতে পারছিলেন না। সেই কারণেই রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করেন।