কালিয়াগঞ্জে চাঁদকা গ্রামে রাজবংশী যুবককে নির্মম ভাবে হত্যা পুলিশের

কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুর সংলগ্ন চাঁদকা গ্রাম এখন ক্ষোভে ফুঁসছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী “তিনগাড়ি পুলিশ এসে বিষ্ণুকে খুঁজল। তারপর ওর বাবাকে গাড়িতে তুলতে গেল। মারধর করল।মৃত্যুঞ্জয় এসে জিজ্ঞাসা করল কেন তুলেছেন। থানার দারগা বলল শ্যুট করো। আর পুলিশ ডাইরেক্ট গুলি করল।

মৃত্যুঞ্জয়ের এক বন্ধু বললেন, “আমরা রাজবংশীরা শান্তিপ্রিয় মানুষ। মৃত্যুঞ্জয়, কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় ছিলই না। ও শিলিগুড়িতে থাকে। কনস্ট্রাকশনের কাজ করে। কাকার ছেলের বিয়ের জন্য এসেছিল। আজকেই ভোরে শিলিগুড়ি ফিরে যেত। কিন্তু হল না। পুলিশ ইচ্ছা করে একের পর এক রাজবংশী মানুষকে টার্গেট করছে।”

মোট দুই রাউন্ড গুলি চলল। এমনকী গ্রামের উপপ্রধানকেও মারতে গিয়েছিল। উনি বসে পড়ায় লাগেনি। বিএসএফও বলছে দু’রাউন্ড গুলির আওয়াজ শুনতে পেয়েছে।”

এই বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। টুইটারে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে তিনি লেখেন, “কালিয়াগঞ্জে ৩৩ বছর বয়সী এক রাজবংশী যুবককে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে ‘মমতা’ পুলিশ। ট্রিগার হ্যাপি ‘মমতা’ পুলিশ মধ্যরাত ২টো ৩০ মিনিটে বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিষ্ণু বর্মনের বাড়িতে হানা দেয়। কিন্তু তাঁকে পায়নি। এর পর ৩৩ বছর বয়সী রাজবংশী যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে নৃশংসভাবে গুলি করে খুন করে তারা। এটা রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের নিকৃষ্ট নজির”।

তিনি আরো বলেন যে ”গতকাল বিকেলে এক সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালিয়াগঞ্জের মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ তাঁর আজ্ঞা পালন করল। তাঁকে এই নৃশংস রাষ্ট্রীয় হত্যার দায়িত্ব নিতে হবে।