৫০ দিনের বেশি জেল হেফাজতে থাকা আসামি সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা পুলিশের ডিরেক্টরটে নিযুক্ত

রাজ্য পুলিশে পদ পেলেন নারদ কাণ্ডে অভিযুক্ত আইপিএস সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা । তাঁকে ওএসডি পদে নিয়োগ করা হয়েছে । এর আগে তিনি বর্ধমানের পুলিশ সুপার ছিলেন । কিন্তু, নারদ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোর পর তাঁকে সাসপেণ্ড করা হয়েছিল । প্রায় ৪ বছর পর ফের রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টরটে নিযুক্ত হলেন তিনি ।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মির্জাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। ৫০ দিনের বেশি জেল হেফাজতে ছিলেন তিনি। পরে জামিনে মুক্তি পান। এর পর তাঁকে ‘কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে’ পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার মির্জাকে ওএসডি পদে নিয়োগ করা হল।

নারদ-কাণ্ডে যে ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছিল, সেখানে নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছে থেকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল বহু তৃণমূল নেতাকে । টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল মির্জাকেও । এরপরই সাসপেণ্ড করা হয় তাঁকে । ২০১৯ সালের মির্জাকে গ্রেফতারও করে সিবিআই । প্রায় দু’মাস জেলে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান তিনি । এর পর তাঁকে ‘কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে’ পাঠানো হয়েছিল । অবশেষে তাঁকে ফের রাজ্য পুলিশে নিয়োগ করা হল ।

নারদ স্টিং অপারেশন ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছিল বঙ্গ রাজনীতিতে। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে এই স্টিং অপারেশনের ফুটেজ প্রকাশ করা হয়। যেখানে দেখা যায় তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের ঘুষ নিতে দেখা গিয়েছে। এই স্টিং অপারেশন ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি।

আর এখানেই ফাঁসানো হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে । ফটোশপ এর মাধ্যমে তার মুখ বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল , পরে বারবার এই ফেক ছবি নিয়েই নিম্নমানের মানের রাজনীতি করে চলেছে পিসি – ভাইপো ।