সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আসে চাঞ্চল্যকর মোড়। সুশান্তের গার্লফ্রেন্ড রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পুরো পরিবার ও ম্যানেজারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন প্রয়াত অভিনেতার বাবা কেকে সিং।

সুশান্তের পরিবারের তরফে আসা এই গুরুতর অভিযোগের খবর সামনে আসার পরই তড়িঘড়ি জলেবি অভিনেত্রীর বাড়িতে হাজির হন তাঁর আইনজীবী। তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল আইনি লড়াইয়ের জন্য ঘুঁটি সাজাচ্ছে রিয়া। এবার জানা গেল অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন জানাচ্ছেন রিয়া চক্রবর্তী। ডিএন’তে প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে আজই আদালতে আন্তর্বতীকালীন জামিনের আবেদন জানাতে পারেন রিয়া। গতকাল রাতে তিনঘন্টা ধরে আইনজীবী আনন্দিনি ফার্নান্দেজের সঙ্গে আলোচনা করেন রিয়া ও তাঁর পরিবার। যদিও সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রত্যাশা মতোই মুখ খোলেননি আইনজীবী।

ইতিমধ্যেই এই মামলার তদন্ত করতে মুম্বই পৌঁছেছে পাটনা পুলিশের চার সদস্যের একটি দল।যাঁর নেতৃত্বে রয়েছেন নিশান্ত সিং। ইতিমধ্যেই সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তের দায়িত্বে থাকা মুম্বই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অভিষেক ত্রিমুখের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছে পাটনা পুলিশ টিম। রিয়া ও তাঁর পরিবারকে এবার পাটনা পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হবে।

মু্ম্বই পুলিশ এফআইআর দায়ের করছিল না, বিস্ফোরক সুশান্তের পরিবারের আইনজীবী

মুম্বই পুলিশ ৪০ দিন পরেও কারুর বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করেনি। বরং বেশ কিছু বড় প্রযোজক সংস্থা নাম জোর করে জড়ানোর চেষ্টা করছিল, দাবি সুশান্তের আইনজীবীর।

কিন্তু কেন সুশান্তের মৃত্যুর ৪০ দিনেরও বেশি সময় পর মুখ খুলল পরিবার, কেন মুম্বই পুলিশকে নিজেদের অভিযোগের কথা জানায়নি তাঁরা। সেইসব প্রশ্ন উঠে আসছিল। অবশেষে মুখ খুললেন সুশান্তের পরিবারের আইনজীবী। বুধবার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে কেকে সিংয়ের আইনজীবী বিকাশ সিং জানান, ‘পাটনায় এফআইআর এখন দায়ের করা হয়েছে কারণ পরিবার একটা শকের মধ্যে ছিল এবং মুম্বই পুলিশ এফআইআর দায়ের করছিল না। তাঁরা বেশ কিছু বড় প্রযোজক সংস্থা নাম জোর করে জড়ানোর চেষ্টা করছিল এবং মামলাটি অন্যদিকে ঘুরে যাচ্ছিল’।

১৫ কোটি অ্যাকাউন্ট থেকে সরিয়েছে রিয়া ও তাঁর পরিবার,FIR-এ দাবি সুশান্তের বাবার

অভিযোগ অনুযায়ী, রিয়া ও তাঁর পরিবারের সুশান্তের থেকে ১৭ কোটি টাকা হাতিয়েছিলেন। রিয়া সুশান্তের এটিএম ও ডেবিট কার্ড নিজের কাছে রাখতেন। সুশান্তের কোটাক ও মহিন্দ্রা ব্যাংক রাখা অ্যাকাউন্টও রিয়া পুরো খালি করে দেন বলে অভিযোগ।

সুশান্ত অর্গানিক ফার্মিংয়ে টাকা ঢালতে চাওয়ায় রিয়া বলেন যে তিনি মিডিয়ায় বলে দেবেন সুশান্তের মানসিক অসুস্থার কথা। এমনকী সব প্রেসক্রিপশন ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেন রিয়ার, অভিযোগ সুশান্তের বাবার।

সুশান্তের দুটি সংস্থায় ডিরেক্টর রিয়া ও তাঁর ভাই। অভিনেত্রীর বিদেশযাত্রার যাবতীয় টাকাও সুশান্তরে ক্রেডিট কার্ডের দয়াতেই আসত বলে অভিযোগ। মৃত্যুর আগে সুশান্তের ল্যাপটপ ও গয়না নিয়ে রিয়া চলে যান বলে দাবি করেছেন অভিনেতার বাবা।

প্রসঙ্গত সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত করছে মুম্বই পুলিশ। কিন্তু দাবি উঠেছে সেটিকে সিবিআইয়ের হাতে দেওয়ার। রিয়া চক্রবর্তীও সেই দাবি করেছেন। কিন্তু এদিনের অভিযোগের পরে সুশান্তের মৃত্যুতে যে নয়া মোড় এল, তা বলাই যায়। এখনও অবশ্য এই সকল অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেননি রিয়া চক্রবর্তী।

মিডিয়ার কাছে মানসিক অসুস্থতার কথা ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন রিয়া, দাবি সুশান্তের বাবার

সুশান্ত সিং রাজপুতের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুললেন প্রয়াত অভিনেতার বাবা।

অভিযোগ অনুযায়ী, রিয়া ও তাঁর পরিবারের সুশান্তের থেকে ১৭ কোটি টাকা হাতিয়েছিলেন। রিয়া সুশান্তের এটিএম ও ডেবিট কার্ড নিজের কাছে রাখতেন। সুশান্তের কোটাক ও মহিন্দ্রা ব্যাংক রাখা অ্যাকাউন্টও রিয়া পুরো খালি করে দেন বলে অভিযোগ।

সুশান্ত অর্গানিক ফার্মিংয়ে টাকা ঢালতে চাওয়ায় রিয়া বলেন যে তিনি মিডিয়ায় বলে দেবেন সুশান্তের মানসিক অসুস্থার কথা। এমনকী সব প্রেসক্রিপশন ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেন রিয়ার, অভিযোগ সুশান্তের বাবার।

সুশান্তের দুটি সংস্থায় ডিরেক্টর রিয়া ও তাঁর ভাই। অভিনেত্রীর বিদেশযাত্রার যাবতীয় টাকাও সুশান্তরে ক্রেডিট কার্ডের দয়াতেই আসত বলে অভিযোগ। মৃত্যুর আগে সুশান্তের ল্যাপটপ ও গয়না নিয়ে রিয়া চলে যান বলে দাবি করেছেন অভিনেতার বাবা।

প্রসঙ্গত সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত করছে মুম্বই পুলিশ। কিন্তু দাবি উঠেছে সেটিকে সিবিআইয়ের হাতে দেওয়ার। রিয়া চক্রবর্তীও সেই দাবি করেছেন। কিন্তু এদিনের অভিযোগের পরে সুশান্তের মৃত্যুতে যে নয়া মোড় এল, তা বলাই যায়।

 কেন সুশান্তের মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত দাবি করছে না পরিবার ? জবাব দিলেন দিদি শ্বেতা

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তের দায়িত্বে থাকা মুম্বই পুলিশের কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট নয় সুশান্ত ভক্তরা। শুরুতেই মুম্বই পুলিশ এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে দাবি করায় ক্ষুদ্ধ তাঁরা। এই হাই প্রোফাইল মৃত্যুর তদন্তভার দেওয়া হোক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বা সিবিআইকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দাবিতে সরব নেটিজেনরা। তবে আশ্চর্যজনকভাবে এই দাবিতে নীরব সুশান্তের পরিবার। তাঁর বাবা কিংবা চার দিদির কেউই কেন আদরের গুলশনের (এই নামেই সুশান্তকে ডাকে তাঁর পরিবার) মৃত্যুর সিবিআই তদন্তের দাবি জানাননি। কিন্তু কেন এই নীরবতা? এই প্রশ্ন তাড়া করে বেড়াচ্ছিল সুশান্ত ভক্তদের। পরিবারের সম্মতি না থাকায় তাঁদের আন্দোলনকে গুরুত্ব দিচ্ছে না সরকার, এই ধারণা নিয়েই এক অনুরাগীকে সুশান্তের দিদি শ্বেতাকে প্রশ্ন করেন-‘গোটা দেশ যখন পাশে আছে তখন কেন সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন না তাঁরা’?

জবাবে শ্বেতা জানান, ‘আমরা অপেক্ষা করছি মুম্বই পুলিশের তদন্ত শেষ হওয়ার এবং তাঁদের ফাইনাল রিপোর্টের’।

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে থাকেন সুশান্তের দিদি শ্বেতা। ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়েই ছুটে এসেছিলেন এদেশে। পিঠাপিঠি ভাইবোন তাঁরা। সুশান্ত বয়সে একবছরের ছোট শ্বেতার চেয়ে। সোমবার সুশান্তকে নিয়ে একটু সুদীর্ঘ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট লেখেন শ্বেতা।সামনে আনেন সুশান্তের ছেলেবেলার ছবি, ১৩ বছর আগে শ্বেতার বিয়ের ছবি এবং ১০ই জুন সুশান্তের সঙ্গে হওয়ার তাঁর কথোপকথোনের স্ক্রিনশট। শ্বেতা লেখেন, ‘যদি আমি পারতাম সবকিছু থেকে ওকে রক্ষা করতে….এখনও রোজ ভাবি আমি ঘুম থেকে উঠে ভাইকে দেখব…দেখব আমার পাশেই রয়েছে,ভাবব এই গোটা এপিসোডটা একটা দুঃস্বপ্ন ছিল আর কিচ্ছু নয়’।