“৫৭ জন বিজেপি কর্মীকে খুন করা তৃণমূলের গুন্ডারা শহিদ মিনারে এসে যদি ডিএ’র দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের গায়ে হাত দেয়, তাহলে সন্ধ্যার পরই বাংলা অচল হয়ে যাবে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর

শহিদ মিনারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় শর্তসাপেক্ষে ছাড়পত্র দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

আর এই সভার অনুমতি দেওয়া নিয়ে সত্য তথ্য তুলে ধরলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুলিস জোর করে সেনার কলার ধরে অভিষেকের বুধবারের সভার অনুমতি আদায় করেছে। সেনা বুধবারের সভার অনুমতি দিতে চায়নি, এমনটাই দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর

শহিদ মিনারে অভিষেকের সভা নিয়ে শুরুতেই আপত্তি জানায় সেনা। ওই এলাকায় এই মুহূর্তে ডিএ’র (DA) দাবিতে আন্দোলনকারীদের ধরনা কর্মসূচি চলছে। একই এলাকায় জোড়া কর্মসূচির অনুমতি সেনা দিতে না চাইলেও রাজ্য পুলিস তা দিয়ে দেয়। এরপরই মামলা হয় আদালতে। আদালত আজই শর্তসাপেক্ষে অভিষেকের সভার অনুমতি দেয়।

এরপরই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করেন, ‘সভার অনুমতি তৃণমূল নেয়নি। এই অনুমতি পুলিস সেনার কলার ধরে নিয়েছে। তৃণমূলের দলদাস বিনীত গোয়েল একজন ডিজি-কে পাঠিয়ে কার্যত কলার ধরে আর্মির থেকে এনওসি নিয়েছে। এর থেকে লজ্জার আর কিছু হয় না।’

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘তৃণমূলের (TMC) সভায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে রাজ্য অচল করে দেব।’ শুভেন্দুর দাবি, “আমি অত্যন্ত আতঙ্কিত ও আশঙ্কিত। যেসব গুন্ডারা ‘খেলা হবে’ ডিজে বাজিয়ে ২০২১ সালের ২রা মে-র পরে ১ লক্ষ বিজেপি কর্মীকে ঘরছাড়া করেছিল, ১০ হাজার কর্মীকে মেরেছে ও ৫৭ জন বিজেপি কর্মীকে খুন করেছে, সেই সব গুন্ডারাই এই শহিদ মিনারে আসবে। কাল এরা যদি ডিএ’র দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের গায়ে হাত দেয়, তাহলে সন্ধ্যার পরই বাংলা অচল হয়ে যাবে।’

এদিকে, শহিদ মিনার চত্বরে অভিষেকের সমাবেশের বিরোধিতা করে আদালতের গেলেন আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, অভিষেকের সভা অন্যত্র করার নির্দেশ দিক আদালত। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করে আদালতে মামলা দায়ের করার আবেদন করার সরকারি কর্মীরা।