রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেও মমতার শিষ্টাচার বিরোধী আসন ব্যবস্থা শুভেন্দু অধিকারীর জন্য

উল্লেখ্য, রাজভবনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে এই বসার ব্যবস্থাপনা করেছে রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। এমন অবস্থায় শুভেন্দুর অভিযোগ, এমন আসন ব্যবস্থা শিষ্টাচার বিরোধী।

পশ্চিমবঙ্গের মহামান্য রাজ্যপাল ডঃ সিভি আনন্দ বোস মহোদয়কে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

আজকের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ। বিভাগীয় মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই উক্ত অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের বসার স্থান নির্ণয় করা হয়েছে।
বিরোধী দলনেতার বসার আসন নির্দিষ্ট করা হয়েছে কৃষ্ণ কল্যাণী ও বিশ্বজিৎ দাসের পাশে। এই দুজনেরই বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে বিধায়ক পদ খারিজের শুনানি চলছে। এনারা বিজেপির টিকিটে জিতে এবং পদত্যাগ না করেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আর এঁদের পাশেই শুভেন্দু অধিকারীর আসন সংরক্ষিত করা হয়েছিল।

শুভেন্দু অধিকারী বলেন ‘আমি আজকের অনুষ্ঠানে যোগ দেবো না। কারণ আমার পক্ষে এই ধরনের আপত্তিকর ব্যক্তিদের পাশে বসা সম্ভব নয়।
আমি মহামান্য রাজ্যপাল মহোদয়কে অনুরোধ জানিয়েছি, তিনি ওনার সময় ও সুবিধা অনুযায়ী আমাকে দেখা করার অনুমতি দিতে, এবং সেটা আজও হতে পারে। ওনাকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি রাজ্যে বেলাগাম দুর্নীতি, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ও আর্থিক বিপর্যয় সহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত, তাই বিরোধী দলনেতা ও জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে আমার কর্তব্য রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে রাজ্যের সংকটের বিষয়ে অবহিত করা।’

তিনি ফেইসবুক পেজএ বলেন যে আসলে এটা আর কিছু নয়, অভদ্র ও নিকৃষ্টতম রাজনীতির একটা বড় নিদর্শন। আসলে ‘কম্পার্টমেন্টাল’ মুখ্যমন্ত্রী ‘নন্দীগ্রামের ১৯৫৬’-এর বেদনা থেকে এইসব করছেন। এই ভাবে কি গায়ের জ্বালা মেটানো যায়?
ওনাকে “নিরলস সাহিত্য সাধনার” জন্য বাংলা আকাদেমী পুরষ্কারের পরিবর্তে “সাংবিধানিক নীতি রীতি কে হেয় প্রতিপন্ন” করার জন্য “প্রতিহিংসামূলক আচরণের” পুরষ্কার দেওয়া উচিত।

তিনি ভারতবর্ষের অন্যতম ফন্দিবাজ রাজনীতিবিদ, যিনি ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার লোভে ‘পোর্টফোলিও-বিহীন’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছিলেন। অর্থাৎ দফতর নেই, কাজকর্ম নেই কিন্তু মন্ত্রী থাকবেন এবং সুবিধে ভোগ করবেন !
তিনি যদি এই ভেবে আমোদিত হন যে আমার সাথে এমন অসভ্য আচরণ করে আমাকে বিরক্ত করা যাবে তাহলে সেই গুড়ে বালি।
ওনার মতো আমার ‘চেয়ারের’ প্রতি এত লোভ নেই, তাই আমি ওই আসনে বসবো আর উনি ভাববেন ‘দেখ কেমন দিলাম’ এটা হবে না। ওনার আত্মমর্যাদা জ্ঞান না থাকতে পারে আমার রয়েছে।