পারিবারিক রেশন ডিলারের ব্যবসা থেকে একবার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা ! কোন দুর্নীতির পথ অবলম্বন করে বিধায়ক হলেন তিনি ?

গতকাল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় বাহিনী সমেত এখনও তার বাড়িতে চলছে টানা তল্লাশি।
বড়ঞার আন্দিতে জীবনের পৈতৃক ভিটেয় সিবিআইয়ের মোট ছ’টি দল তল্লাশি চালাচ্ছে। তৃণমূল বিধায়ককে নজরবন্দি করে চলছে তল্লাশি। এখন কৌতূহল হল, কে এই জীবনকৃষ্ণ? কোন পথেই বা তিনি তৃণমূলের বিধায়ক হলেন?

আন্দির গ্রাম বলছে, জীবনকৃষ্ণর পরিবারের তিন কূলে কেউ কখনও রাজনীতি করেননি। তাঁদের পারিবারিক রেশন ডিলারের ব্যবসা রয়েছে। হঠাৎই দেখা যায় একুশের ভোটে মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় তৃণমূলের টিকিট পেয়ে গিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, জীবনের বিরুদ্ধে চাকরি করে দেবেন বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পুরনো। ২০১৭-১৮ সাল থেকেই এই চক্রে তিনি যুক্ত বলে মনে করছে সিবিআইয়ের। সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। যেখানে এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রকাশ্য তর্কাতর্কিতে শোনা গিয়েছিল, টাকা লেনদেন, কমিশনের ভাগ নিয়ে কথা বলছেন তৃণমূল বিধায়ক।

সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কৌশিক ঘোষ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তিনিও বড়ঞার বাসিন্দা। কৌশিকের সূত্রেই জীবনকৃষ্ণকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি।
সিবিআই সূত্রে খবর, কয়েকশ লোকের থেকে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলেছিলেন জীবনকৃষ্ণ। মুর্শিদাবাদ জেলায় নিয়োগ দুর্নীতির এজেন্ট হিসাবে তিনি কাজ করেছিলেন বলে অনুমান তদন্তকারীদের।

গতকাল দুপুর ১২টা নাগাদ বিধায়কের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। শুক্রবার রাতভর চলে তল্লাশি। সিবিআই সূত্রে খবর, বিধায়কের দুটি মোবাইলই ফেলে দেওয়া হয়েছিল বাড়ি লাগোয়া পুকুরের জলে। অভিযোগ জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন অসুস্থতার কথা বলে শৌচালয়ে গিয়ে দুটো মোবাইল পুকুরে ফেলে দেন তৃণমূল বিধায়ক। সেই কারণেই তল্লাশি চালানো হয়েছে। তথ্য লোপাট করতেই এই কৌশল? কী এমন গোপন তথ্য ছিল বিধায়কের ফোনে যেই কারণে একেবারে পুকুরে ফেলতে হল ফোন? উঠছে প্রশ্ন।