‘আরে ও নন্দলাল, গরীব মানুষের পাতে কি জুটবে শুধু নুনের সাথে মোদীজির দেওয়া বিনা পয়সার চাল?’ মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে রাজ্য সরকারকে নৈতিক আক্রমণ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।


যে হারে সবজির দাম বেড়ে চলেছে, তাতে মধ্যবিত্তের পকেটে ছ্যাঁকা লাগছে রীতিমতো। ৫০০ টাকা নিয়ে গেলে বাজারের বাগের এক কোন পরে থাকছে সব্জি। গত সপ্তাহেও যে সবজির দাম ৩০ টাকা ছিল, এই সপ্তাহে তা ১৮০ টাকা।

আনাজের দাম নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত এমনকি উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের ও নাগালের বাইরে। এমনকী এ কথা বললে মোটেও বাড়াবাড়ি হবে না যে সবজির দাম এই মুহূর্তে সর্বকালের রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে”।

এর মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে টাস্ক ফোর্স বৈঠকে বসে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, টমেটো, করলা, পটল, বেগুন, ঢেঁড়সের মতো আনাজ সুফল বাংলায় ২০–২৫ শতাংশ কম দামে মিলবে।

সুফল বাংলায় সবজি কোনো কম দামে বিক্রি হয় না, ৫ টাকা কম হলে সেটা বিরাট ফারাক নয় ।
তবে সুফল বাংলা কোথায় কোথায় আছে , তা বাংলার মানুষ জানে না। আর জানলেও দুশো জন লোকের পেছনে লাইন দিয়ে, TMC লোকেদের সাথে মারপিট করে সব্জি কেনার মতন ইচ্ছা বাংলার মানুষের আছে কিনা সেটা যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রাখে।

আনাজের দাম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে টাস্ক ফোর্স গঠন করেছিলেন, যার উদ্দেশ্য ছিল হঠাৎ করে বাজার হাটে শাক–সবজির দাম বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু আদতে তার প্রতিফলন কখনই দেখা যায় না।’‌

বিভিন্ন সব্জির বাজারে এখন যে দাম ….
বেগুন —১৮০ টাকা
টমেটো — ২০০ টাকা
লঙ্কা— ৩০০ টাকা
পটল —- ৮০ টাকা
শসা —–১০০ টাকা
করলা—-১০০ টাকা