“রিষড়ায় সুরক্ষিত নয় বিচারকের পরিবারও, প্যারা মিলিটারি ফোর্স নামান” , মন্তব্য হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির


‘প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিওর’, রিষড়ায় আধা সামরিক বাহিনী নামানোর পরামর্শ দিলেন প্রধান বিচারপতি

হাওড়া ও রিষড়ার (Rishra) অশান্তি নিয়ে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) রিপোর্ট জমা দেয় রাজ্য সরকার। এরপরই রাজ্যকে তীব্র ভর্ৎসনা করল আদালত। রিষড়ার ঘটনায় (Rishra Violence) উদ্বেগ প্রকাশ করেন স্বয়ং ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। এলাকায় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা যায় কি না, সে নিয়েও প্রশ্ন করা হয় রাজ্যকে।

এই প্রসঙ্গেই এদিন এক বিচারকের কথা উল্লেখ করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম। তিনি জানিয়েছেন, রিষড়ার ঘটনায় ওই এলাকার এক বিচারক চিঠি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে। নিজের পরিবারকে নিয়ে আতঙ্কে কাটানোর কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। বিচারক জানিয়েছেন, পুলিশের সাহায্য চেয়েও পাননি তিনি। ওই বিচারকের বাড়ি রিষড়ায়, ঘটনার সময়ে তিনি ডায়মন্ড হারবারে কাজের সূত্রে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন।

জানা গেছে, এদিন আদালত রাজ্য সরকারকে জানায়, ডায়মন্ড হারবারের জেলা জজের পরিবার রিষড়ায় থাকে। তাঁরা সেখানে নিরাপদ বোধ করছেন না৷ বিচারক পুলিসকে জানানোর পরও কোনও ব্যবস্থা হয়নি। ডায়মন্ড হারবারের জেলা জজ নিজেই চিঠি লিখে হাইকোর্টকে এ কথা জানায়।

হাইকোর্ট রাজ্যের উদ্দেশে আরও বলে, সাধারণ মানুষ যাতে সুরক্ষিত অনুভব করেন তার ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে। প্রয়োজনে প্যারা মিলিটারি ফোর্সের সাহায্য নিক রাজ্য। গোটা বিষয়টি শোনার পর রাজ্যের পক্ষ থেকে বলা হয়, পুলিস কর্তা ও প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে আদালতকে আজই সবটা জানানো হবে।

মঙ্গলবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রিষড়ায় যান। রাজ্যপালকেও সাধারণ মানুষ তাঁদের বিপন্নতার কথা জানান বলে খবর। হাইকোর্ট এদিন স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছে, যে এলাকায় বিচারকের পরিবার সুরক্ষিত নয় সেখানে আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের কী অবস্থা তা সহজেই বোঝা যাচ্ছে।

বুধবারের শুনানিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিওর (prevention is better than cure)। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হচ্ছে, তাতে স্পষ্ট যে ওই এলাকার অবস্থা স্বাভাবিক নয়।’