বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের সাক্ষাত্কার সম্প্রচারের আগে তা বন্ধের জন্য জনস্বার্থ মামলা হয় আদালতে। তবে সেই আবেদন শেষ পর্যন্ত গ্রাহ্য হয়নি।

জনস্বার্থ মামলাকে পাশে রেখে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের সাক্ষাত্কার সম্প্রচারের অনুমতি দিয়েছিলো কলকাতা হাইকোর্ট। একটি বেসরকারি চ্যানেলে সাক্ষাতকার প্রচারের আগে তা বন্ধ করতে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু সেই আপিল শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছিল।

একটি বেসরকারি চ্যানেলে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের সাক্ষাত্কার সম্প্রচারের আগে তা বন্ধের জন্য জনস্বার্থ মামলা হয় আদালতে। তবে সেই আবেদন শেষ পর্যন্ত গ্রাহ্য হয়নি।

ওই রিট পিটিশন করেছিলেন শেখ সইদুল্লা নামে এক নাগরিক। তিনি তাঁর আবেদনে জানিয়েছিলেন, এই ধরনের ইন্টারভিউের সঙ্গে বিচারব্যবস্থার মূল্যবোধ ও ব্যাঙ্গালোর প্রিন্সিপালের সঙ্গে বৈপরীত্য রয়েছে। এই ধরনের সাক্ষাত্কার বন্ধের জন্য অবিলম্বে নির্দেশ দেওয়ার জন্য তিনি আবেদন করেছিলেন। তবে সেই আবেদন শেষ পর্যন্ত গ্রাহ্য হয়নি। আবেদনকারী তার পক্ষে যথাযথ যুক্তি-তর্ক দিতে পারেননি। সেক্ষেত্রে রিট পিটিশন শুনানির কোনো বিশেষ কারণ নেই আদালত ইটা জানিয়ে দেয়।

এদিকে মামলার অন্যতম পক্ষ ছিল রাজ্য সরকার। আদালতের আদেশে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো কিছুর অনুমতি দেওয়া ঠিক নয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠান রক্ষার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়। অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণের রেফারেন্সে সুপ্রিম কোর্টের একটি মামলারও উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে, আদালতের আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে, আমরা বিশ্বাস করি যে বেঙ্গালুরু প্রিন্সিপাল আদালতকে সম্মান করবেন এবং যেকোনো বক্তব্য উপস্থাপনের ক্ষেত্রে আদালতকে সম্মান করবেন।

এর সাথে, বেঞ্চ বলেছে যে বৃহত্তর জনস্বার্থে, চ্যানেল এমন কিছু সম্প্রচার করবে না যা বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে। পাশাপাশি আদালত বলেছে, অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণের মামলার প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন।