আজ উদ্বোধন হচ্ছে নবনির্মিত টালা সেতুর, যার স্থায়িত্ব ১০০ বছর

Tala bridge

খড়গপুর আইআইটি-র বিশেষজ্ঞদের নানান পরীক্ষা নিরীক্ষার পর এই টালা সেতু উদ্বোধন করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, এই টালা সেতুর এমনভাবে নকশা প্রস্তুত করা হয়েছে যাতে এর স্থায়িত্ব ১০০ বছর পর্যন্ত হতে পারে।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হয়। তারপর থেকে আড়াই বছর পর আজ টালা ব্রিজ নবরূপে ফিরছে কলকাতার বুকে। প্রায় ৮০০ মিটার লম্বা নতুন টালা রেলওভার ব্রিজের ২৪০ মিটার পুরোপুরি রেলপথের উপরে রয়েছে। এই অংশে কোনও স্তম্ভ বা পিলার নেই। অ্যাপ্রোচ রোডে মোট বারোটি স্তম্ভ বা পিলার রয়েছে। সিঁথি, বরানগর ডানলপ-সহ কলকাতার শহরতলি এলাকা থেকে উত্তর কলকাতার শ্যামবাজারে ঢোকার পথ প্রশস্থ হবে।

নির্মাণ সংস্থার সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই সেতুটি অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে নির্মাণ করা হয়েছে। নবনির্মিত এই টালা সেতু নির্মাণে ব্যবহার করা হয়নি কোন নাটবোল্ট। এর ফলে নাকি এই সেতুর স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই সেতুর নকশা রেলের পর অতি দ্রুত মনোনীত হয়েছে সিআরএসের।

পূর্ত দপ্তরের বিশেষজ্ঞদের কথা অনুযায়ী, বর্তমানে যে নকশাটি প্রস্তুত করা হয়েছে তাতে ১০০ বছরের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিকেল সাড়ে চারটেয় টালা ব্রিজের উদ্বোধন হবে। রাজ্যের সম্মানীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করবেন টালা ব্রিজের। খড়গপুর আইআইটি থেকে ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পর উদ্বোধন হচ্ছে টালা ব্রিজের। প্রশাসন সূত্রে খবর, ৪ লেনের নতুন সেতুটি ৮০০ মিটার লম্বা। নবনির্মিত টালা ব্রিজ নির্মাণে খরচ হয়েছে ৪৬৮ কোটি টাকা।

পুজোর আগে ব্রিজ খোলায় কমবে যানজটের ভোগান্তি। তবে যেমনটা জানা যাচ্ছে, উদ্বোধনের পর প্রথম কিছুদিন চলবে শুধু ছোট গাড়ি। বন্ধ থাকবে বড় গাড়ি ও ভারী চলাচল। কিছুদিন পর থেকে চালু করা হবে বড় গাড়ি চলাচল।পূর্ত দপ্তরের বিশেষজ্ঞদের কথা অনুযায়ী, আজ থেকে বহু বছর আগে ১৯৬২ সালে সেই সময়কার পরিবহনের চিত্র অনুযায়ী নকশা করা হয় টালা সেতুর। কিন্তু বর্তমানে যে নকশাটি প্রস্তুত করা হয়েছে তাতে ১০০ বছরের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে।