“অযোগ্য প্রার্থীদের যেভাবে নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সেটা কোনো ভুতের কাজ নয়”, বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়

কমিশনের আইনজীবী সুতনু পাত্র কোর্টে জানান, আসল ওএমআর শিট নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন ওএমআর শিট নিয়ে এত প্রশ্নের পর কীভাবে তা নষ্ট করা হল, । ২০১৮-২০১৯-এর মধ্যে নষ্ট হলেও নম্বরে দুর্নীতি হয়েছে কি না, তা গাজিয়াবাদ হার্ড ডিস্ক ও সল্টলেক হার্ড ডিস্ক মিলিয়ে বোঝা সম্ভব।

এদিন আদালতে সেই মিলিয়ে দেখে জানানো হয়, ১০ জন শূন্য পেয়েছেন গাজিয়াবাদের হার্ড ডিস্কে। তাদের কমিশনের সার্ভারে নম্বর ৫৩। বাকিরা যারা ১ বা ২ পেয়েছে গাজিয়াবাদ সার্ভারে। তারা ৫১-৫২ পেয়েছে কমিশনের তালিকায়। ২০ জন অপেক্ষমান প্রার্থীদের ক্ষেত্রে একইভাবে ৯ থেকে বেড়ে ৪৯ হয়েছে। তা দেখে বিচারপতি বলেন, ”আমার পর্যবেক্ষণ এটা কোন ভূতের কাজ নয়। এটা দেখে স্পষ্ট যে দুর্নীতি নিশ্চিতভাবেই হয়েছে। যারা কমিশনের সঙ্গে যুক্ত তারাই করেছে এই দুর্নীতি। এরপর তিনি কমিশনকে নির্দেশ দেন, তারা এই ৪০ জনের নাম রোল নম্বর ও বাকি বিষয় আপলোড করুক ওয়েবসাইটে। ওএমআর শিটের কপিও আপলোড করতে হবে এবং তা এদিনই প্রকাশের নির্দেশ দেন বিচারপতি।